মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা (Sreemangal) বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী হিসেবে সুপরিচিত। পাহাড়ের ঢালে চা বাগানের অপূর্ব দৃশ্য ছাড়াও শ্রীমঙ্গল এবং এর আশেপাশে রয়েছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ, রাবার বাগান, হামহাম জলপ্রপাত, মাধবপুর লেক সহ আরো বেশকিছু দর্শনীয় স্থান। ঢাকা থেকে একদিনে সহজে ভ্রমণ করা যায় বলে একদিনে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ অনেকের কাছেই জনপ্রিয় গন্তব্য।
ঢাকা থেকে যেভাবে শ্রীমঙ্গল যাবেনঃ
ট্রেন ভ্রমণে শ্রীমঙ্গলঃ
ঢাকা থেকে ট্রেন করে শ্রীমঙ্গল যেতে কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশন হতে উপবন, জয়ন্তিকা, পারাবত অথবা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনকে বেছে নিতে পারেন আপনার ভ্রমণ সঙ্গী হিসাবে। শ্রেণী ভেদে জনপ্রতি ট্রেনে যেতে ভাড়া ১৭৫ টাকা থেকে ৬৫৬ টাকা। ট্রেনে যেতে সময় লাগে চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা।
একদিনের শ্রীমঙ্গলে আপনারা যেসব জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন
শ্রীমঙ্গল এবং এর আশেপাশে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও মনোমুগ্ধকর দর্শনীয় স্থান রয়েছে:
১. চা বাগান (Tea Gardens)
শ্রীমঙ্গলের প্রধান আকর্ষণ হলো এর সবুজ চা বাগান। এখানে প্রায় ৪০টিরও বেশি চা বাগান রয়েছে, যা সারা বছরই সবুজ গালিচার মতো দৃশ্য তৈরি করে।শ্রীমঙ্গলের প্রবেশপথেই সাতগাঁও চা-বাগানের সহায়তায় নির্মিত 'চা-কন্যা' ভাস্কর্যটি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
চা-এর অভিজ্ঞতা: আপনি চা বাগানের মধ্য দিয়ে হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন এবং চা পাতা তোলার কাজ দেখতে পারেন । এ এই বিশেষ চা পাওয়া যায়, যা আপনারা একটাবার হলেও ট্রাই করে দেখতে পারেন ।
২.লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান (Lawachara National Park)
শ্রীমঙ্গল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত । এটি ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বন এবং জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। এখানে বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী, যেমন - উল্লুক, চশমা বানর, মুখপোড়া হনুমান এবং বিভিন্ন ধরনের পাখির দেখা মেলে ।
এখানে হালকা ট্রেকিং বা হাইকিং করার ব্যবস্থা রয়েছে।
৪. হাইল হাওর ও বাইক্কা বিল (Hail Haor & Baikka Beel)
বাইক্কা বিল: এটি হাইল হাওরের একটি অংশ, যা পাখি, মাছ ও গাছের জন্য একটি অভয়ারণ্য। বিশেষ করে শীতকালে এখানে হাজারো অতিথি পাখির সমাগম হয়। পাখি দেখতে ও হাওরের পরিবেশ উপভোগ করতে বাইক্কা বিল একটি আদর্শ স্থান।
৫. হাম হাম জলপ্রপাত (Ham Ham Waterfall)
শ্রীমঙ্গলের পার্শ্ববর্তী রাজকান্দি রিজার্ভ ফরেস্টের গভীরে লুকিয়ে থাকা এই জলপ্রপাত অ্যাডভেঞ্চার-প্রেমীদের জন্য দারুণ আকর্ষণীয়। তবে এখানে যেতে হলে কিছুটা ট্রেকিং করতে হয়।
বাস ভাড়া- ৪৯০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা (বাসভেদে)
সকালের নাস্তা- ৫০ টাকা
সিএনজি রিজার্ভ- ১২০০ টাকা (সারাদিনের জন্য)
দুপুরের খাবার- ১৫০ টাকা
ফিরতি ট্রেনের টিকেট- ২৭৫ টাকা থেকে ৯৩৮ টাকা
অন্যান্য- ১০০ টাকা
Comments
Post a Comment