জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহ কবে হবে

জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিয়ের তারিখ নির্ণয়ের প্রতীকী ছবি


মানুষের জীবনে বিবাহ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। প্রত্যেকেই চান, সঠিক সময়ে সঠিক জীবনসঙ্গীর হাত ধরে নতুন পথ চলা শুরু করতে। কিন্তু এই শুভক্ষণটি ঠিক কবে আসবে, তা নিয়ে আমাদের মনে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেকেই ভাবেন, জ্যোতিষ শাস্ত্র  কি বলে দিতে পারে আমার বিয়ের সঠিক সময়?
জ্যোতিষীর কাছে ভারতীয় বর-কনের শুভ বিবাহের তারিখ নির্ধারণের আলোচনা(Indian bride and groom consulting an astrologer over a horoscope chart.)

কথায় বলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। আর এ বিয়ে নিয়েই আমাদের মনে নানা রকমের উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়। লাভ না অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ সেটা সকলেই জানতে চান।জ্যোতিষীদের কাছে অনেকেই প্রশ্ন করেন, "দেখাশোনা করে বিয়ে করলে বেশি টেকশই হবে নাকি প্রেম করে বিয়ে করলে?"
ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত ভারতীয় বর ও কনে তাদের পরিবারের সাথে বিবাহ অনুষ্ঠানে বসে আছেন।(Indian bride and groom in traditional wedding attire seated with family.)

সংখ্যা জ্যোতিষের ব্যাখ্যা: লাভ ম্যারেজ নাকি অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ?

সংখ্যা জ্যোতিষ অনুযায়ী ব্যক্তির জন্ম তারিখ ও মূলাঙ্ক দেখে সেই ব্যক্তির জীবনের নানান দিক সম্পর্কে জানা যায়। জন্মতারিখ থেকে জাতকের সম্পর্কে জানাকে বলা হয় নিউমেরোলজি বা সংখ্যাত্ত্ব।
জ্যোতিষে যেমন ১২ টি রাশি রয়েছে ঠিক তেমনই সংখ্যাতত্ত্বে গণনা হয় ৯টি মূলাঙ্কের ভিত্তিতে। যা জন্মতারিখ দেখে স্থির করা হয়।

ব্যক্তির জন্ম তারিখ যোগ করে তৈরি হয় মূলাঙ্ক। কারও জন্ম ২৪ তারিখে হলে মূলাঙ্ক হবে ৬ (২+৪)। আবার কারও জন্ম তারিখ ৩ হলে মূলাঙ্ক হবে ৩। তবে কারোও জন্ম তারিখ ৩১ হলে মূলাঙ্ক ৪ (৩+১) হবে। এভাবে মূলাঙ্কে ৯টি ভাগে বিভক্ত করা হয় । যার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি , আপনার প্রেম করে নাকি দেখাশুনা করে বিয়ে হবে । আধুনিক ভাবে বলতে গেলে আপনার, Love Marriage  নাকি Arranged Marriage?

পেজ সূচিপত্রঃ জন্ম তারিখ থেকে মূলাঙ্ক নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি:

এভাবেই, আপনার জন্ম তারিখের ভিত্তিতে সংখ্যা জ্যোতিষে মূলাঙ্ক নির্ণয় করা হয়।
সূর্য প্রতীক সম্বলিত একটি বৃত্তাকার চাকাতে আঁকা ১২টি রাশিচক্রের রেখাচিত্র(Line art of the twelve zodiac signs in a circular wheel with a central sun symbol)

মূলাঙ্ক-১ 

জন্ম যদি ১ ,১০ ,১৯ বা ২৮ তারিখে হয় , তাহলে তাঁদের অধিপতি হলেন তেজস্বী সূর্যদেব । এই তারিখের জাতকদের জন্মগতভাবেই স্বাধীনচেতা ও নেনৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা থাকে। ব্যক্তিগতভাবে এরাঁ সাধারণত লাজুক স্বভাবের হয়ে থাকেন এবং নিজের ভালোবাসার কথা সহজে প্রকাশ করতে পারেন না । এরাঁ নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কোন কাজ করতে চান না এবং নিজের জন্য অদ্বিতীয় ও অসাধারণ জীবনসঙ্গীর সন্ধানে থাকেন ।

এই কারণে এঁদের ক্ষেত্রে প্রেম বিবাহের সম্ভাবনা কিছুটা কঠিন হতে পারে। এঁরা মূলত পরিবারের সম্মতিতে বা দেখাশোনা করে বিয়ে করতে পছন্দ করেন। বিবাহিত জীবনে এঁরা সঙ্গীর প্রতি অত্যন্ত নিষ্ঠাবান থাকেন এবং সাধারণত অল্প বয়সী জীবনসঙ্গীর খোঁজ করেন।

 মূলাঙ্ক-২

জন্ম যদি ২, ১১,২০ বা ২৯ তারিখে হয় , তাহলে এদেঁর অধিপতি হলেন  কারক চন্দ্রদেব। এই জাতক - জাতিকাদের কাছে ভালোবাসাই সবকিছু । এরাঁ ভালোবাসার বন্ধনে নিজেকে জড়াতে দ্বিধা করেন না । 

শারিরীক সম্পর্কের চেয়েও সঙ্গীর সঙ্গে আবেগপ্রবণ সম্পর্ক মজবুত করা এদেঁর কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ন। এরাঁ ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে কাউকে ভালোবাসেন , কিন্তু একবার কারও হাত ধরলে পিছপা হন না।সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এঁরা মস্তিষ্কের পরিবর্তে মনের কথা শুনে থাকেন। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই মূলাঙ্কের জাতকরা যেহেতু সহজেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, তাই এঁদের পরামর্শ দেওয়া হয় যে, মন দেওয়ার আগে সাবধান হন এবং ভেবেচিন্তে প্রেম করুন, যাতে ভুল মানুষের হাতে পড়ে কোনো ধরনের কষ্ট পেতে না হয়। 

 মূলাঙ্ক-৩

জন্ম যদি ৩, ১২, ২১ বা ৩০ তারিখে হয়, তাহলে তাঁদের অধিপতি হলেন  কারক বৃহস্পতি। এঁরা স্বভাবত জ্ঞানী, উচ্চাকাঙ্ক্ষী, সৎ এবং নির্ভীক ভাবে জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন।

এঁরা সম্পর্কে অত্যন্ত যত্বনশীল হন এবং সঙ্গীকে খুব ভালোবাসেন। এঁরা বুদ্ধিমান হওয়ার কারণে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি চিন্তাভাবনা করে নেন। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে এঁরা মস্তিষ্কের চেয়ে মনের কথা বেশি শোনেন এবং প্রেম বিবাহে সফল হন। এদের বৈবাহিক জীবন সাধারণত সুখের হয়।

কখনও কখনও এঁরা নিজেকে নিয়ে অত্যন্ত অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করেন এবং নিজের তৈরি নিয়ম-কানুনে জড়িয়ে থাকেন। এদের মধ্যে রোম্যান্টিকতার অভাব দেখা যেতে পারে। যেহেতু এঁরা নিজেদের নিয়মে চলেন, তাই সঙ্গীর স্বাধীনতাকে সম্মান দেওয়া এঁদের জন্য জরুরি।

মূলাঙ্ক-৪ 

জন্ম যদি ৪, ১৩, ২২ বা ৩১ তারিখে হয়, তাহলে তাঁদের অধিপতি হলেন রাহু। এঁরা স্বভাবগতভাবে রাগী এবং কিছুটা অস্থির প্রকৃতির হন। প্রেমের ক্ষেত্রে এঁরা জীবনসঙ্গীর ব্যাপারে নিজের পছন্দকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন এবং প্রেম বিবাহে আগ্রহী থাকেন।

এঁদের বুঝা কঠিন । এঁরা সাধারণত কারও সঙ্গে সহজে আবেগের গভীরে যেতে চান না এবং অনেক সময় একাধিক সম্পর্কের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন। নিজের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য এঁদের রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি, নতুবা বিবাহের পরেও সম্পর্কে অসতর্ক থাকার প্রবণতা দেখা যেতে পারে।

মূলাঙ্ক-৫

জন্ম যদি ৫, ১৪ বা ২৩ তারিখে হয়, তাহলে তাঁদের অধিপতি হলেন কারক বুধ। এঁরা স্বভাবত মিশুকে, বুদ্ধিদীপ্ত, এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রকৃতির হন।
 
এঁদের জীবনে বিয়ের আগে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা থাকে। এঁরা নতুন সঙ্গীর সঙ্গে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসেন। তবে এঁদের একটি নেতিবাচক দিক হল, খুব তাড়াতাড়ি এঁদের মন কোনো একটি সম্পর্ক থেকে উঠে যেতে পারে।

যদিও এঁরা অস্থির হন, তবুও এঁরা পারিবারিক প্রথা এবং স্থিতিশীলতায় বিশ্বাসী। এঁরা নিজের পরিবারকে খুব সম্মান করেন। তাই এঁরা সাধারণত পরিবারের সম্মতিতেই (অর্থাৎ দেখাশোনা করে) বিয়ে করেন। যদি প্রেম করেনও, তবে পরিবারের সম্মতি নিয়েই সেই সম্পর্ককে বিবাহের দিকে নিয়ে যান।

মূলাঙ্ক-৬

জন্ম যদি ৬, ১৫ বা ২৪ তারিখে হয়, তাহলে তাঁদের অধিপতি হলেন কারক শুক্র। এঁরা  অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং রোম্যান্টিক হন। এঁদের প্রেম ভাগ্য অত্যন্ত উজ্জ্বল, কারণ এঁরা সহজেই মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারেন।

এই জাতকরা দ্রুত আবেগে ভেসে যেতে সময় নেন না এবং প্রেমের সম্পর্ককে সফল পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে চান। ফলস্বরূপ, এঁরা খুব সহজেই প্রেম বিবাহ করতে সফল হন। তবে এঁদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো, এঁদের জীবনে একাধিক সম্পর্কে জড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। এমনকি বিয়ের পরেও এঁরা অন্য সম্পর্কের খোঁজে ঘুরে বেড়াতে পারেন। 

মূলাঙ্ক-৭

জন্ম যদি ৭, ১৬ বা ২৫ তারিখে হয়, তাহলে তাঁদের অধিপতি হলেন কেতু। এঁরা লাজুক, আত্মবিশ্বাসী এবং যেকোনো বিষয় নিয়ে খুব বেশি চিন্তাভাবনা করেন। এঁরা বাস্তব জীবনের চেয়ে নিজের কল্পনার জগতেই বেশি বাস করেন। বেশি কথা বলা এঁদের এক্কেবারে অপছন্দ ।

এঁরা প্রেম করলেও, বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলেই পিছপা হতে শুরু করেন। যদিও এঁরা রোম্যান্টিক হন, কিন্তু ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করার ফলে তা বিশালাকার ধারণ করে। প্রেম বা দাম্পত্য জীবনে এঁদের সঙ্গে লড়াই-ঝগড়া হলে তা সহজেই গভীর তর্ক-বিতর্কে পৌঁছে যায়। 

সংখ্যা জ্যোতিষ অনুযায়ী, এই জাতকদের পরিবারের সদস্যদের সহমতিতে বা দেখাশোনা করে বিয়ে করা উচিত।
একটি হিন্দু দম্পতির আংঠি বদল

 মূলাঙ্ক-৮

জন্ম যদি ৮, ১৭ বা ২৬ তারিখে হয়, তাহলে তাঁদের অধিপতি হলেন শনিদেব। এই জাতকরা সাধারণত প্রেমের সম্পর্কে কম জড়ান এবং কিছুটা দেরিতে জড়ান। এঁদের প্রধান গুণ হলো বিশ্বস্ততা ও সততা । এঁরা নিজের সম্পর্কের বিষয়ে অত্যন্ত দায়িত্বশীল হন।

এঁরা মনের কথা শুনে চলেন এবং সঙ্গীর সঙ্গে একাত্ম হতে অনেক সময় ব্যয় করেন। তবে একবার কাউকে ভালোবেসে ফেললে, তাঁর জন্য সমস্ত কিছু করতে প্রস্তুত থাকেন এবং তাঁকেই বিয়ে করেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এঁদের অধিকাংশ সময় ভুল বুঝে নেওয়া হয়, এবং প্রায়ই সঙ্গীই এঁদের ভুল বুঝে থাকেন।

মূলাঙ্ক-৯

জন্ম যদি ৯, ১৮ বা ২৭ তারিখে হয়, তাহলে তাঁদের অধিপতি হলেন কারক মঙ্গল। এই জাতকরা সাধারণত প্রেম থেকে দূরে থাকতেই ভালোবাসেন এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি নিতে চান না। এঁদের মতে, প্রেমের পথে সুখের চেয়ে দুঃখ বেশি, তাই অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ বা দেখাশোনা করে বিয়ে করার প্রতি এঁদের বেশি বিশ্বাস থাকে। 

যদিও এঁরা প্রেম থেকে দূরে থাকতে চান, তবুও বিয়ের প্রতি এঁদের অনীহা থাকে না। এঁরা যখন সম্পর্কে জড়ান, তখন আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন এবং প্রেম জীবনে এঁদের প্রচুর প্রত্যাশা ও দাবী থাকে। এঁদের মধ্যে যৌন চাহিদা অনেক বেশি থাকে এবং শারীরিক সম্পর্ককেও এঁরা গুরুত্ব দেন। এঁরা শুধুমাত্র নিজের সঙ্গীর সঙ্গেই নয়, বরং তাঁর পরিবারের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক তৈরি করেন। এঁরা সাধারণত স্পষ্ট কথা বলতে ভালোবাসেন এবং এমন সঙ্গী নির্বাচন করেন, যাঁদের সঙ্গে এঁরা একাত্ম হতে পারেন।

💬 লেখকের মতামত ও বার্তা

সংখ্যা জ্যোতিষ বা নিউমেরোলজি আমাদের জীবনের গতিপথ এবং সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে কেবল একটি ইঙ্গিত দিতে পারে। জন্ম তারিখ অনুযায়ী আমাদের বিয়ের সময় বা সম্পর্কের ধরন সম্পর্কে যে বিশ্লেষণগুলি আমরা তুলে ধরলাম, তা দীর্ঘদিনের জ্যোতিষ চর্চার ওপর ভিত্তি করে তৈরি।

তবে মনে রাখতে হবে, মানুষের জীবন কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যার ছকে বাঁধা নয়। জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে—তিন বিধাতা নিয়ে হলেও, আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, প্রচেষ্টা এবং জীবনসঙ্গীর প্রতি আন্তরিকতা ও বোঝাপড়া সম্পর্ককে সবচেয়ে বেশি টেকসই করে তোলে।

আমাদের এই বিশ্লেষণকে শুধুমাত্র একটি মজার কৌতূহল অথবা সতর্কতামূলক পূর্বাভাস হিসেবে গ্রহণ করুন। বিয়ের মতো জীবনের এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, নিজের মনের কথা শুনুন, পারিবারিক পরিস্থিতি বিবেচনা করুন এবং অবশ্যই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। 

একটি হিন্দু দম্পতি মণ্ডপে আশীর্বাদ নিচ্ছে

ভালো থাকুন, সুন্দর হোক আপনার নতুন পথচলা। 





😂 একটা মজার কথা বলি!

এতক্ষণ তো জ্যোতিষের গম্ভীর গম্ভীর কথা বললাম। কিন্তু আপনাদের একটা সিক্রেট বলে দিই! আপনাদের এই যে লেখক, যার কলম থেকে এই লেখাটা বেরোলো—আমার নিজের মূলাঙ্কও কিন্তু সেই
" ৪ নাম্বার  "!

আমাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ৪ নম্বরেরা নাকি সহজে সম্পর্কে মন দেন না, রাগ একটু বেশি আর জেদ তো আছেই! (হাহাহা!) এই সব কথা আমার ক্ষেত্রে কতটা সত্যি, সেটা না হয় গোপনই থাক! তবে হ্যাঁ, 'প্রেম করে বিয়ের প্রবল যোগ' এই কথাটা শুনে আমিও বেশ আশা নিয়েই থাকি!


"আপনার মূলাঙ্কের সাথে আমাদের এই গল্পটা কতটা মিলল? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!"


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার রিভিউটি লিখুন: এই পোস্টের কোন 'অপ্রকাশিত' ধারণাটি আপনার জীবনের কোনো দিককে প্রভাবিত করতে পারে?

comment url